প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম। গত বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজের পোস্টে হিরো আলম জানান, নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছেন তিনি। ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।
হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তবে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। গত ৩ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হিরো আলম দলীয় প্রার্থী হয়েও দলের নাম উল্লেখ করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১ শতাংশ ভোটার তালিকাও জমা দেননি। দলীয় ফরমের মূল কপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। এছাড়া হলফনামায় তিনি তাঁর স্বাক্ষর দেননি এবং সম্পদ বিবরণী ফরম জমা দেননি। এসব কারণে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি চাইলে এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করতে পারেন।’
ফেসবুক পোস্টে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কথা জানান হিরো আলম। ছবি: ফেসবুক
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর হিরো আলম বলেন, ‘উকিল ভুল করেছে। তবে উকিল ভুল করা মানে আমি ভুল করেছি। হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিল নতুন কিছু না। হলফনামায় স্বাক্ষর করিনি। তাঁরা চাইলেই এখানে আমার স্বাক্ষর নিতে পারত। বাতিল করেছে করুক। ইনশাআল্লাহ হিরো আলম ভোটের মাঠে থাকবে। আমি আবারও আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। ওখানে না হলেও হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনব। হিরো আলম ভোটে আছে, ভোটের মাঠে থাকবে।’
ইসিতে আপিলের পর গত রোববার প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম। তবে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পরও নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন তিনি।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলম। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নেন তিনি।
https://slotbet.online/