চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি চন্দন (৩৫) গ্রেপ্তার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে ভৈরব রেলস্টেশন এলাকা থেকে ভৈরব থানা ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হত্যাকাণ্ডের পেছনের ঘটনা
গত ২৫ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন চট্টগ্রামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলহাজতে পাঠানোর সময় চিন্ময়ের অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং প্রিজন ভ্যান আটকে দেয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আদালত ভবনের মূল ফটকের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কমলা রঙের টি-শার্ট, কালো প্যান্ট এবং মাথায় হেলমেট পরিহিত চন্দন ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের মামলা
এই মর্মান্তিক ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাইফুলের ভাই আরও একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১১৫ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার অভিযান
ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে চন্দনের সনাক্তকরণ এবং পুলিশি তদন্তের পর বৃহস্পতিবার ভোরে ভৈরব রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, সাইফুল হত্যা মামলার তদন্তে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্য
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, “চন্দনকে গ্রেপ্তার করা আমাদের একটি সফল অভিযান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত আরও এগিয়ে যাবে।”
সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো আইন অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আইনজীবী ও বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।