• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
নোটিশ ::

বিজ্ঞাপন

মাগরিব: নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

ইসলামীক ডেস্ক: / ২৮৩ বার
আপডেট সময় : রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩
ছবি সংগ্রহ

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মাগরিব অন্যতম। মাগরিব মানে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়। সূর্য অস্তমিত হওয়ার পরপর এ নামাজ আদায় করা হয় বলে একে সালাতুল মাগরিব বা মাগরিবের নামাজ বলা হয়। সন্ধ্যায় সূর্য পুরোপুরি ডুবে গেলে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর পশ্চিম আকাশে দিগন্তলালিমা শেষ হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের নামাজ পড়া যায়। তবে সূর্যাস্তের পর বিলম্ব না করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নেওয়া মোস্তাহাব।

মাগরিব নামাজের গুরুত্ব 
প্রতি ওয়াক্ত নামাজ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও কোরআন-হাদিসে মাগরিবের নামাজের আলাদা গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর সকাল-সন্ধ্যায় (ফজর ও মাগরিবের সময়ে) আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। (নামাজ পড়ো)।’ (সুরা আলে ইমরান: ৪১) তাফসিরবিদদের মতে এই আয়াতে ফজর ও মাগরিবের নামাজের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কারণ এ দুই সময়ে প্রকৃতিতে বড় দুটো পরিবর্তন হয়। দিন ও রাতের পালাবদল ঘটে।

মাগরিব নামাজের ফজিলত
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায়, যতবার যায়, আল্লাহ তাআলা ততবারই তার জন্য জান্নাতে মেহমানদারির উপকরণ প্রস্তুত করেন।’ (বুখারি: ৬২২)

মাগরিব নামাজ আদায়ের সময়
সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, ‘সূর্য পর্দার আড়ালে ঢাকা পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা নবী (স.)-এর ইমামতিতে মাগরিবের নামাজ আদায় করতাম।’ (বুখারি: ৫৬১)
আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আমার উম্মত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে অথবা মূল অবস্থায় থাকবে, যতদিন তারা মাগরিবের নামাজ আদায়ে তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব না করবে।’ (আবু দাউদ: ৪১৮) অর্থাৎ যথাসম্ভব সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই মাগরিবের নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া, বিলম্ব করা অনুচিত।

মাগরিবের সুন্নত নামাজের ফজিলত
মাগরিবের নামাজের পর দুই রাকাত নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। এর ফজিলত প্রসঙ্গে রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গুরুত্বের সঙ্গে মাগরিবের পরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করেন, তাঁর জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়।’ (তিরমিজি: ৬৩৬২)

মাগরিবের পর আওয়াবিনের ফজিলত
মাগরিবের পরপর আরেকটি ফজিলতপূর্ণ নামাজের নাম হলো আওয়াবিন। এই নামাজের ফজিলত বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ৬ রাকাত পড়বে, তাকে ১২ বছর নফল ইবাদতের সওয়াব দান করা হবে।’ (তিরমিজি: ৪৩৭)
আওয়াবিন সম্পর্কে দুটি ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। একটি হলো, মাগরিবের ফরজের পর সুন্নতসহ ৬ রাকাত নামাজ পড়লেই তা আওয়াবিন বলে গণ্য হবে। অন্য বর্ণনায় সুন্নতের পর ৬ রাকাতের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং আমরা যেকোনো বর্ণনার ওপর আমল করলেই তা আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাসময়ে যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের নেক আমলগুলো কবুল করুন। আমিন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর

বিজ্ঞাপন

ads
https://slotbet.online/