ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। কেউ কেউ তিনবেলায়ই ভাত খান। ভাত শরীরের জন্য উপকারীও। তবে অনেকেরই প্রশ্ন ঠান্ডা না গরম ভাত, কোনটা খেলে শরীর সুস্থ থাকবে?
এ ব্যাপারে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন নানা তথ্য।
শক্তির ভাণ্ডার: ভাতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তির ঘাটতি পূরণ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজের মতো একাধিক জরুরি উপাদান। এ কারণে শুধু শক্তি বাড়াতে নয়, দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতেও ভাত খেতে পারেন।
গরম না ঠান্ডা ভাত খাওয়া উপকারী?
এ ব্যাপারে ঈশানী গঙ্গোপাধ্য়ায় জানান, ভাত গরম অবস্থায় খাওয়ার থেকে ঠান্ডা করে খাওয়া অনেক বেশি উপকারী। এতে ভাতে রেজিস্টেন্স স্টার্চের পরিমাণ বাড়ে। আর এই উপাদান সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজ রোজ গরম ভাত খাওয়ার পরিবর্তে ভাত ঠান্ডা করে খান। তাহলে উপকার পাবেন।
পুষ্টিবিদ ঈষানী আরও জানান, গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা ভাতে মজুত রেজিস্টেন্স স্টার্চ কোলোনে প্রিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। যার ফলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আর সেই কারণেই গ্যাস, অ্যাসিডিটি হওয়ার ঝুঁকি কমে। এমনকী কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, ঠান্ডা ভাতে উপস্থিত ফাইবার উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতেও ভূমিকা রাখে।
অন্ত্রের জন্য ভালো পান্তাভাত
পান্তাভাত তৈরি হয় ফারমেন্টেড প্রক্রিয়ায়। এই ভাত খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ে। এর ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে একাধিক পেটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে পান্তাভাতে বেশি বেশি কাঁচা লবণ এবং তেল মেশাবেন না। তাহলে উপকারের পরিবর্তে বিপদে পড়বেন।
দিনে কতটা ভাত খাবেন?
ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, কোনও সুস্থ-সবল ব্যক্তি দিনে ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম ভাত খেতেই পারেন। এতে সমস্যার কিছু নেই। তবে ডায়াবেটিস বা ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শ নিন। সূত্র: অনলাইন
https://slotbet.online/