অনেকেই মনে করে থাকেন, শর্করা থাকায় ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা ফল খেতে পারবেন না। ব্যাপারটা মিষ্টি ফলের জন্য কার্যকর হলেও সকল ফলের ক্ষেত্রে সত্য নয়।
ফলে আছে ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ। আর ফলকে কম শর্করার ভিত্তিতে ভাগ করা যায় যা ডায়াবেটিকদের জন্য নিরাপদ।
এই বিষয়ে হেল্থশটশ ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেঙ্গালুরু’র সরজপুরের ‘মাদারহুড হাসপাতাল’য়ের খাদ্য পরিকল্পনা পরামর্শক ও পুষ্টিবিদ দীপিকা জয়াসয়াল ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কম শর্করা সমৃদ্ধ ফলের উপকারিতা সমন্ধে জানান।
আপেল: প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তবে অন্যান্য ফলের তুলনায় শর্করার মাত্রা কম। এতে আছে দ্রবণীয় আঁশ যা ধীরে পরিপাক হয় এবং শর্করা শোষণ করে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
আপেল কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স সমৃদ্ধ ফল। মানে হল এটা রক্তের শর্করায় কম প্রভাব ফেলে। আপেল জুস বা আপেল সসের পরিবর্তে গোটা আপেল খাওয়া বেশি উপকারী, এতে আঁশের উপকারিতা পাওয়া যায়।
কমলা: ভিটামিন সি, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। যদিও এতে শর্করার মাত্রা কম। তবে প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। নাস্তা হিসেবে বা সালাদে কমলা খাওয়া যেতে পারে। এর সতেজ করা ঘ্রাণ ও স্বাদের জন্য অধিকাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের খেতেও ভালো লাগে।
নাশপাতি: ডায়াবেটিকদের জন্য নাশপাতি বেশ উপকারী ফল। এতে আছে আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ। আর কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স’য়ের ফল বলে তৃপ্তি যুগিয়ে শর্করার কারণে হওয়া খিদার মাত্রা কমায়।
বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ও রাস্পবেরি কেবল খেতে মজাদার নয় এতে শর্করার মাত্রা অনেক কম। এতে কার্বোহাইড্রেইট ও গ্লাইসেমিক মাত্রা কম, যা ডায়াবেটিকদের জন্য আদর্শ পছন্দ হতে পারে।
বেরি নানানভাবে খাওয়া যায় যেমন- দই, ওটমিল, স্মুদি বা সাধারণ নাস্তা হিসেবে। এটা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করা ছাড়াই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা মিটায়।
এর আঁশের কারণে দেহে শর্করার শোষণ হয় ধীরে। পেট ভরা রাখে। আর রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। নাশপাতি তাজা, সালাদ বা মিষ্টি খাবারে ব্যবহার করা যায়।
ডালিম: শর্করার মাত্রা কম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ যা ইন্সুলিনের প্রতিরোধ কমায়। চিনি যোগ না করে পরিমিত ডালিমের রস খাওয়া বা গোটা ডালিম খাওয়া উপকারী।
ডায়াবেটিসের জন্য পরিমিত ফল
কম শর্করাযুক্ত ফল খেলেও পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। অন্যথায় অতিভোজনের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিকদের নিয়মিত রক্তের শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। আর পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
https://slotbet.online/