দ্বিতীয় ও শেষ মেয়াদে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমারসন এমনানগাগওয়া। পর্যবেক্ষকদের দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধীরা।
রোবাবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় এমনানগাগওয়াকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের তথ্য মন্ত্রণালয় শনিবার একটি টুইট বার্তায় জানায়, জিম্বাবুয়ে নির্বাচন কমিশন ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট ইমারসন এমনানগাগওয়া ২৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, যা মোট প্রদানকৃত ভোটের ৫২.৬ শতাংশ। অপরদিকে, সিটিজেনস কোয়ালিশন ফর চেঞ্জ (সিসিসি) দলের নেলসন চামিসা পেয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৭৩৪ ভোট, যা ৪৪ শতাংশ ভোট।
বিরোধী দল সিসিসির একজন মুখপাত্র প্রমিস ম্যাকওয়ানানজি বলেছেন, সিসিসি চূড়ান্ত তালিকায় স্বাক্ষর করেনি। তিনি এ নির্বাচনকে ‘মিথ্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। সিসিসি খুব দ্রুতই পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে।
দেশটিতে সহিংস ও বিতর্কিত ভোটের ইতিহাস রয়েছে। ২০১৭ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের স্বৈরচারী শাসক রবার্ট মুগাবেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটি দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন।
নির্বাচনের আগে মুদ্রা সঙ্কট, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, দুর্বল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং আনুষ্ঠানিক চাকরির অভাবের কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিরোধী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পরিস্থিতিতে সেখানে ভিন্নমতকে চুপ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগও করে।
এমনানগাগওয়া মুগাবের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ২০১৭ সালের অভ্যুত্থানের আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি নিজেকে একজন সংস্কারক হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করলেও অনেকেই তাকে স্বৈরশাসকের চেয়েও বেশি দমনমূলক বলে অভিযুক্ত করেছেন।
সূত্র : আল-জাজিরা ও ভয়েস অব আমেরিকা
https://slotbet.online/