বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা: ভারতের দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের
আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী, একটি দেশের হাইকমিশনে হামলা কোনোভাবেই সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় তিনি আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আগরতলায় আমাদের হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকা জোর করে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভারত সরকার দায় এড়াতে পারে না। তাদের রাষ্ট্রীয় সমর্থন ছাড়া এমন কর্মকাণ্ড সম্ভব নয়।”
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “ভারতীয় মিডিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এতে ভারত সরকারের দায়িত্বশীল আচরণের অভাব স্পষ্ট। তারা উল্টো বিভাজনের রাজনীতি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ত্রিপুরা, আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভারতের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভাজন সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ না হলে এই বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
নাহিদ উল্লেখ করেন, “ভারত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সমর্থন দিয়ে ভোট চুরি, গুম-খুন এবং গণহত্যার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। এমনকি সেই হত্যাকারীদের প্রধানকে নিজেদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারতের প্রতি দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে।”
নাহিদ ইসলাম ভারতের প্রতি আহ্বান জানান, “বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখুন। বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভ দূরীকরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো বন্ধ করে সমতার ভিত্তিতে আমাদের নতুন ভবিষ্যৎ গঠনে সহযোগিতা করুন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই কূটনৈতিক শান্তি ও উন্নয়নের চাবিকাঠি।”
এই ঘটনার পর বাংলাদেশ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। ভারতের দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি স্বস্তিদায়ক হলেও নাহিদ ইসলাম মনে করেন, দায় এড়ানোর প্রবণতা নয়, বরং কার্যকর পদক্ষেপই সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
https://slotbet.online/