আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপক্ষ শেখ হাসিনার বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে। প্রসিকিউশনের দাবি, ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনা সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কটূক্তি করেছেন। তার কথিত কল রেকর্ড ফাঁস এবং বক্তব্যগুলো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলছে।
এর আগে, ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্যগুলো বিদ্বেষমূলক এবং তা প্রচার পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল করতে পারে। এই কারণে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেগুলোর প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ আদেশের ফলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
https://slotbet.online/