আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ও ছাত্রদল—আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চটি শুরু হয়ে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা
লংমার্চকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শুল্ক স্টেশনের প্রধান ফটকের কাছে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে জেলা পুলিশ। যাত্রীদের হেঁটে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যেতে হচ্ছে, যা ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে। ইমিগ্রেশনের সামনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ও প্রশাসনের প্রস্তুতি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নিতে আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় জড়ো হয়েছেন। বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানিয়েছেন, পর্যাপ্তসংখ্যক বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং একটি দল রিজার্ভে রাখা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, “লংমার্চকে কেন্দ্র করে স্থলবন্দরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ মোতায়েন রয়েছে।”
লংমার্চটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগের পাশাপাশি সুষ্ঠু নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা লক্ষ্য করা গেছে।