খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা রমজানের একটি ঐতিহ্যিক অংশ। এটি একটি প্রাচীন আদত, যা ইসলামী সাহিত্যে উল্লেখ পাওয়া যায়।
পবিত্র হাদিসেও খেজুর দিয়ে ইফতার করার উল্লেখ পাওয়া যায়। খেজুরের পরিমাণে সারা দিন রোজা রাখার পরে খাবারের প্রথম খেজুর খেতে অধিকাংশ মুসলিমদের উদ্দেশ্য হলো তাৎক্ষণিক শক্তি পূর্ণ করা। খেজুরে বেশি পুষ্টিকর ও শক্তিশালী এবং এটি প্রাকৃতিক শক্তির একটি ভালো উৎস হিসাবে বলা হয়।
ইফতারে খেজুর খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
পুষ্টি প্রদান করে: উপবাসের পর খেজুর খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরের পুষ্টিগুণ প্রচুর। এই ফল শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি প্রদান করে এবং খুব সহজেই হজম হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। সারা দিন উপবাসের পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল।
পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে: সারা দিন না খেয়ে থাকলে সন্ধ্যায় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। যার ফলে পেটের রোগ, হজমে গণ্ডগোল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি সারাদিন উপবাসের পর অতিরিক্ত খেয়ে ফেলাও আটকায়। এতে প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে অল্পেতেই পেট ভরা লাগে।
তাছাড়া, খেজুর আমাদের শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে। যার ফলে হজম ভালো হয়।
অ্যাসিডিটি রোধ করে: সারা দিন উপোস থাকার কারণে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে খেজুর শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শারীরিক অস্বস্তি কমায়।
শক্তি দেয় : সারা দিন উপবাসের পর শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খেজুর শারীরিক ক্লান্তি দূর করে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি যে এ ফল খেলে অনেকটা শক্তি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এই সব গুণ। এ ছাড়া, খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও শরীরে দীর্ঘ সময় শক্তি বজায় রাখে।
শরীর ডিটক্সিফাই করে: সারা দিন উপবাস থাকার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।
https://slotbet.online/